অনলাইনে কাজ শুরু করতে চাচ্ছেন কিন্তু আপনি কিছুই জানেন না যে কোনটা ভালো হবে ফ্রিলান্সিং নাকি মার্কেটিং? আপনি যদি এমন অবস্থানে থেকে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেল আপনার জন্য অনেক ভালো কিছু তথ্য দেবে।  এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে বলতে যাচ্ছি, আপনি কিভাবে আপনার অনলাইন জার্নি শুরু করতে পারেন।

আপনি যদি অনলাইনে কাজ করতে চান তাহলে প্রথম যেই সমস্যা হয় সেটি হচ্ছে আপনি ফ্রিলান্সিং এবং মার্কেটিং এই ২ টি বিষয়কে এক করে ফেলেন।  এটা আপনার দোষের কিছুনা কারন এটাই স্বাভাবিক।  এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়লে আশা করি আপনি আপনার জার্নি শুরু করার আগেই সঠিক রাস্তা খুজে নিতে পারবেন।

অনলাইন ফ্রিলান্সিং কি?

অনলাইন ফ্রিলান্সিং হচ্ছে এমন একটি কাজ যেখানে প্রথমে আপনাকে কোন একটি বিষয়ে খুব ভালো অভিজ্ঞতা নিতে হবে বা কাজ শিখতে হবে। আপনাকে প্রথমে সময় দিতে হবে শেখার জন্য এবং আপনি যখন নিজেকে ওই কাজের জন্য উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন সখন আপনাকে কোন ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করে কাজের জন্য বিড করতে হবে।

এই ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেসে আপনি অনেক অনেক প্রোজেক্ট এর লিস্ট পাবেন যেমন ধরুন কোনো ক্লাইন্ট একটি প্রোজেক্ট দিয়েছে তার নিজের বিজনেস এর জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে দিতে হবে।  আপনি যদি ভালো ওয়েব ডিজাইন জানেন তাহলে ওই কাজ টি আপনি করে দিতে পারবেন এবং ওই কাজ এর জন্য আপনি কত টাকা নেবেন এই বিষয় লিখে ক্লাইন্টকে আপনি জানাতে পারবেন।

যদি ক্লাইন্ট মনে করে যে আপনাকে কাজ টি দেবে তাহলে সে আপনাকে হায়ার করবে এবং তার ডিরেকশন অনুযায়ী আপনি কাজ সম্পন্ন করে দিলে সে আপনাকে টাকা দেবে।

এটাই মূলত অনলাইন ফ্রিলান্সিং এবং এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনাকে আগে যেকোন কাজ খুব ভালোভাবে শিখতে হবে এবং এর পর কাজ শুরু করতে হবে।  এখানে আপনি রাতারাতি হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন না।

ফ্রিলান্সিং এবং মার্কেটিং ফ্রি কোর্স সমূহ

অনলাইন মার্কেটিং বলতে কি বুঝি?

অনলাইন মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে সহজ ভাবে যেটা বোঝানো হয় তা হচ্ছে যে কোণ পণ্য বা সেবা ডিজিটাল ভিত্তিক প্রচারনা করে বিক্রি করার মাধ্যম।  অনলাইন মার্কেটিং এর অনেক জনপ্রিয় একটি মার্কেটিং মাধ্যম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যা কিনা আপনি গুগল বা ইউটিউবে একটু রিসার্চ করলেই এই বিষয়ে অনেক তথ্য খুজে পাবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এমন এক ধরনের মার্কেটিং পদ্ধতি যেখানে আপনার নিজের কোন পণ্য লাগবেনা।  আপনি অন্য কোন ব্যাক্তি বা কোম্পানি এর পন্য নিয়ে মার্কেটিং করতে পারবেন এবং আপনি যদি ওই পণ্য বিক্রি করতে পারেন তাহলে প্রতি কপি বিক্রি করার জন্য কোম্পানি আপনাকে একটি কমিশন দেবে।

বিষয়টি অনেক মজার তাইনা? হ্যা, একবার চিন্তা করুন আপনি যদি নিজে কোন ব্যবসার কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে দেখুন কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হলে আপনার নিজের কোম্পানি লাগবে, প্রোডাক্ট তৈরি করতে হবে, প্রোডাক্ট রাখার জন্য আপনার নিজের কোন গোডাউন লাগবে এবং যদি ওই প্রোডাক্ট বিক্রি হয় তখন সেটা ডেলিভারি দেবার একটি বিষয় থাকছে।  কি মনে হচ্ছে? অনেক অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়।

কিন্তু আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করলে সেখানে আপনাকে এই কাজ গুলোর কোন কাজই করতে হচ্ছেনা।  শুধুমাত্র প্রোডাক্ট এর তথ্য নিয়ে মার্কেটিং করবেন এবং বিক্রি হলে কোম্পানি সব কাজ করবে আপনার কমিশন আপনি পেয়ে যাচ্ছেন।

আশা করি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আপনি বুঝতে পেরেছেন।  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পাশাপাশি আরো অনেক ধরনের অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যম আছে যেখান থেকে টাকা ইনকাম করা যায়।  যেমনঃ ব্লগিং, সিপিএ মার্কেটিং, প্রিন্ট অন ডিমান্ড, ড্রপশিপিং ইত্যাদি।  (এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের ব্লগে পরবর্তীতে আরো অনেক আর্টিকেল পাবেন।)

[tcb-script src=”https://apis.google.com/js/platform.js”][/tcb-script]

ফ্রিলান্সিং নাকি মার্কেটিং কোন টা করলে ভালো?

এই প্রশ্ন আমি হাজার বার শুনেছি এবং আশা করছি আপনার প্রশ্ন থাকলে আপনিও উত্তর পেয়ে যাবেন।  আপনি মূলত কারো কাজের দিক নির্দেশনা পরিবর্তন করতে চাইনা এবং কাউকে আমি বলিনা ভাই আপনি এই কাজটি করুন।  আপনি বলে যেই কার জন্য কোন টা ভালো এবং দিকটা নিজেই নির্ধারণ করে নিতে হবে।

প্রথম কথা হচ্ছে আপনার যদি এমন অবস্থা হয়ে থাকে যে আপনি কাজ করে আগামি ১/২ মাসের ভেতর অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে না পারলে অনেক বড় সমস্যা হয়ে যাবে।  আপনার টাকা ইনকাম করা যদি অনেক জরুরী হয় এবং আপনার হাতে যদি এই রকম সিমিত সময় নিয়ে অনলাইনে কাজ শুরু করতে চান তাহলে আমি আপনাকে সাজেশন দেবো অনলাইন আপনার জন্য না।  কারন মাস শেষে অনলাইন আপনাকে গ্যারান্টি দেবেনা যে এখান থেকে আপনি ১০০% ইনকাম করতে পারবেন ই।

এখন আশুন জেনে নেই কাদের জন্য ফ্রিলান্সিং এবং কাদের জন্যই বা মার্কেটিং? হ্যা, আপনি যদি ফ্রিলান্সিং করতে চান থাওলে এখানে আপনাকে কাজ শেখার জন্য কিছু টাকা খরজ করা লাগতে পারে কিন্তু কাজ আপনি খুব ভালোভাবে শিখতে পারলে মার্কেটপ্লেসে যখন কাজের জন্য বিড করবেন তখন আপনার তেমন কোন খরজ করতে হবেনা।

আপনি যদি ফ্রিলান্সিং করতে চান তাহলে প্রথম কথা হচ্ছে এখানে খরজ নেই।  তবে যদি আপনি মার্কেটিং করতে চান তাহলে এখানে আপনার খরজ আছে।  কারন আমি আগেই বলেছি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে একটি ব্যবসার মত যেখানে সব থেকে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনার নিজের কোণ প্রোডাক্ট বা বড় কোন অফিস লাগছেনা।

এখানে অন্যের প্রোডাক্টই আপনার প্রোডাক্ট এবং এই প্রোডাক্ট নিজের প্রোডাক্ট মনে করেই আপনাকে মার্কেটিং করতে হবে।  এই মার্কেটিং যখন করবেন তখন আপনার খরজ কেন হচ্ছে বা কিভাবে হচ্ছে এটি যদি আমরা বুঝতে চাই তাহলে আপনার পাশের কোন দোকান এর কথা চিন্তা করুন।  যখন কেউ নতুন দোকান দেয় তার ব্যবসা প্রচারনার জন্য তাকে কিন্তু পোস্টার করতে হচ্ছে, মাইকিং করতে হচ্ছে। এখন অনলাইনে যখন মার্কেটিং করছেন ঠিক একিভাবে আপনার প্রচারনার জন্য খরজ করতে হবে।

এজন্য মূল কতা হচ্ছে, আপনি যদি অনলাইন চাকুরী এর মত কিছু করতে চান তাহলে ফ্রিলান্সিং হচ্ছে আপনার জন্য পারফেক্ট এবং এখানে টাকা ইনভেস্ট করতে হবেনা।  আর যদি নিজে স্বাধীন ভাবে নিজের ব্যবসা করতে চান তাহলে মার্কেটিং শিখুন তবে মার্কেটিং করতে গেলে আপনার টাকা ইনভেস্ট করে বিজ্ঞাপন করতে হবে।

আর আপনি ফ্রিলান্সিং বা মার্কেটিং যাই করেন না কেন আপনার নুন্যতম ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় লাগবে অনলাইনে নিজের একটা পজিশন তৈরি করে নিতে।  এই সময় পর্যন্ত ধৈর্য ধারন করে যদি এক নাগারে একটি বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি সফলতা পাবেন।

ম্যাবস্ আই.টি কি এবং কিভাবে আপনার স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করতে পারে?

Recommendation

আপনি যদি ফ্রিলান্সিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে ম্যাবস্ আই.টি আপনাকে অনেকভাবেই সাহায্য করবে এবং আপনি চাইলে ম্যাবস্ আই.টি ফ্রি মেম্বারশিপ নিয়ে আগে মেম্বার্স প্যানেলের বিস্তারিত দেখতে পারেন।  এখানে অনেক ফ্রি কোর্সও আপনি পাবেন সেগুলো আগে দেখুন এর পর যদি আপনি মনে করেন ম্যাবস্ আই.টি আপনাকে সাহায্য করবে তাহলে মেম্বারশিপ আপগ্রেড করে নিতে পারবেন।

ফ্রি একাউন্ট করে নিতে এখানে ক্লিক করুন

FAQ

আমার এই পোস্ট যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করুন এবং আপনার যদি কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন আমরা চেস্টা করবো আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে।

Write A Comment